Ticker

6/recent/ticker-posts

একনজরে নবীজি (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী

 


📖 একনজরে নবীজি (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী

✦ সূচিপত্র

  1. ভূমিকা
  2. জন্ম ও বংশপরিচয়
  3. শৈশব ও কৈশোর
  4. বাল্যকালীন অলৌকিক ঘটনা (বক্ষ বিদারণ)
  5. কিশোর বয়স ও সততার পরিচয়
  6. খাদিজা (রা.)-এর সাথে বিবাহ
  7. কাবা সংস্কার ও আল-আমিনের বিচক্ষণতা
  8. নবুওয়তের সূচনা
  9. মক্কী জীবন: দাওয়াত ও নির্যাতন
  10. হিজরতের পূর্ব প্রস্তুতি
  11. মাদানি জীবন: রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠা
  12. প্রধান যুদ্ধসমূহ
  13. বিদায় হজ ও শেষ খুতবা
  14. ইন্তেকাল ও শিক্ষা
  15. উপসংহার

✦ ১. ভূমিকা

মানব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। আল্লাহ তাঁকে সমগ্র মানবতার পথপ্রদর্শক ও রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন।


✦ ২. জন্ম ও বংশপরিচয়

  • জন্ম: ৫৭১ খ্রিস্টাব্দ রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার, মক্কায়।
  • পিতার ইন্তেকাল: জন্মের পূর্বেই।
  • দাদা আবদুল মুত্তালিব নাম রাখেন মুহাম্মদ
  • প্রথম দুধপান করেন মা আমিনা ও দাসী সোয়াইবার কাছ থেকে, পরে দুধমাতা হালিমা সাদিয়া (রা.)

✦ ৩. শৈশব ও কৈশোর

  • শৈশবের প্রথম বড় ঘটনা: বক্ষ বিদারণ (চারবার সংঘটিত হয়)।
  • ৬ বছর বয়সে মা ইন্তেকাল করেন।
  • ৮ বছর বয়সে দাদা ইন্তেকাল, এরপর চাচা আবু তালিবের তত্ত্বাবধানে বড় হন।
  • ১২ বছর বয়সে সিরিয়া সফরে বুহাইরা নামক খ্রিস্টান ধর্মযাজক নবুওয়তের ভবিষ্যদ্বাণী করেন।

✦ ৪. তারুণ্য ও সততার খ্যাতি

  • ২০ বছর বয়সে হিলফুল ফুজুল চুক্তিতে অংশ নেন।
  • ২৫ বছর বয়সে খাদিজা (রা.)-এর সাথে বিবাহ।
  • ৩৫ বছর বয়সে কাবা সংস্কার ও হাজরে আসওয়াদ স্থাপনে অসামান্য প্রজ্ঞার পরিচয় দেন।
  • “আল-আমিন” উপাধি অর্জন।

✦ ৫. নবুওয়তের সূচনা

  • ৪০ বছর বয়সে হেরা গুহায় প্রথম ওহি (সূরা আলাকের আয়াত)।
  • প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী: খাদিজা (রা.), আবু বকর (রা.), আলী (রা.), যায়েদ (রা.)।
  • প্রথম তিন বছর গোপনে দাওয়াত, পরে প্রকাশ্যে।

✦ ৬. মক্কী জীবন ও হিজরতের প্রেক্ষাপট

  • পঞ্চম বছরে মুসলমানদের হাবশায় হিজরত।
  • ষষ্ঠ বছরে হামজা (রা.) ও উমর (রা.) ইসলাম গ্রহণ করেন।
  • সপ্তম বছরে সামাজিক বয়কট।
  • দশম বছরে “আমুল হুজন” – খাদিজা (রা.) ও আবু তালিবের ইন্তেকাল।
  • একাদশ বছরে তায়েফের দুঃখজনক ঘটনা।
  • দ্বাদশ বছরে ইসরা-মিরাজ, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ।
  • পরবর্তীতে আকাবার শপথ এবং মদিনায় হিজরতের সিদ্ধান্ত।

✦ ৭. মাদানি জীবন

  • প্রথম হিজরিতে মসজিদে নববী নির্মাণ।
  • আনসার-মুহাজিরদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন।
  • মদিনা সনদ প্রণয়ন।

✦ ৮. প্রধান যুদ্ধসমূহ

  • বদর যুদ্ধ (২ হিজরি)
  • উহুদ যুদ্ধ (৩ হিজরি)
  • খন্দক যুদ্ধ (৫ হিজরি)
  • হুদাইবিয়া চুক্তি (৬ হিজরি)
  • খায়বার বিজয় (৭ হিজরি)
  • মক্কা বিজয় (৮ হিজরি)
  • তাবুক অভিযান (৯ হিজরি)

✦ ৯. বিদায় হজ ও শেষ খুতবা

  • ১০ হিজরি, বিদায় হজ সম্পন্ন।
  • আরাফাত ময়দানে খুতবা:
    • মানব সমতার ঘোষণা।
    • নারীর অধিকার।
    • কুরআন ও সুন্নাহ আঁকড়ে ধরার নির্দেশ।
  • কুরআনের ঘোষণা: “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম...” (সূরা মায়েদা: ৩)।

✦ ১০. ইন্তেকাল

  • ১১ হিজরি, রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার, ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
  • মসজিদে নববীর পাশে সমাহিত হন।

✦ ১১. উপসংহার

হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন হলো সত্য, ন্যায় ও মানবতার পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা। তাঁর সীরাত অধ্যয়ন ছাড়া মুসলিম জীবনের পূর্ণতা সম্ভব নয়।

বিশুদ্ধ মতে নবীজি (সা.) ৫৭১ খ্রিস্টাব্দের রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের কয়েক মাস আগেই তিনি পিতাকে হারান। দাদা আবদুল মুত্তালিব তার নাম রাখেন মুহাম্মদ। শুরুতে মা আমেনা এবং আবু লাহাবের আজাদকৃত দাসী সোয়াইবার দুধ পান করেন তিনি। এরপর তৎকালীন আরবের রীতি অনুযায়ী তিনি তায়েফে দুধমাতা হালিমা সাদিয়া (রা.)-এর বাড়িতে প্রেরিত হন। সেখানেই তার শৈশব কাটে। হালিমার বাড়িতে থাকা অবস্থায় প্রথমবার বক্ষ বিদারণের ঘটনা ঘটে। প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী বক্ষ বিদারণের ঘটনা তার জীবনে মোট চারবার ঘটেছে। ছয় বছর বয়সে নানাবাড়ি মদিনা থেকে ফেরার পথে আবওয়া নামক স্থানে তার মা ইন্তেকাল করেন। এরপর তার লালনপালনের ভার অর্পিত হয় দাদা আবদুল মুত্তালিবের কাঁধে। যখন তার বয়স আট, তখন দাদাও ইন্তেকাল করেন। এরপর তার অভিভাবক হন চাচা আবু তালিব। ১২ বছর বয়সে চাচা আবু তালিবের সঙ্গে সিরিয়া সফরকালে ধর্মযাজক বুহাইরা তার ব্যাপারে নবুয়তের ভবিষ্যদ্বাণী করেন। ২০ বছর বয়সে সামাজিক সংগঠন ‘হিলফুল ফুজুল’ চুক্তিতে অংশগ্রহণ করেন। ২৫ বছর বয়সে খাদিজা (রা.)-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ৩৫ বছর বয়সে কাবাঘর ও হাজরে আসওয়াদকেন্দ্রিক সৃষ্ট বিবাদে অসামান্য বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে অনিবার্য যুদ্ধ থামিয়ে দেন। ৩৯ বছর বয়স পর্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার জন্য মক্কায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন এবং আল-আমিন হিসেবে প্রসিদ্ধ হন। ৪০ বছর বয়সে নবুয়তের মহাসৌভাগ্য লাভ করেন এবং সুরা আলাকের মাধ্যমে কোরআন নাজিলের ধারা শুরু হয়। নবুয়তের প্রথম দুই বছর গোপনে ইসলাম প্রচার করেন। এ সময় খাদিজা, আবু বকর, আলী, যায়েদ বিন হারেসা (রা.) প্রমুখ সাহাবি ইসলাম গ্রহণ করেন। আল্লাহর নির্দেশে নবুয়তের তৃতীয় বছর থেকে শুরু হয় প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচারের কাজ। নবুয়তের পঞ্চম বছর কাফেরদের নির্যাতনের মুখে মুসলমানদের দুটি দল দুবার হাবশায় হিজরত করে। নবুয়তের ষষ্ঠ বছর হামজা ও ওমর (রা.) ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে ইসলাম শক্তিশালী হয় এবং মসজিদে হারামে প্রকাশ্যে নামাজ আদায় শুরু হয়। নবুয়তের সপ্তম বছর কুরাইশদের সামাজিক বয়কটের শিকার হন রসুল (সা.) ও সাহাবিগণ। এ বছরই আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর জন্ম হয়। নবুয়তের দশম বছর অবসান হয় সামাজিক বয়কটের। এ বছর চাচা আবু তালিব ও স্ত্রী খাদিজা (রা.) ইন্তেকাল করলে রসুল (সা.) অত্যন্ত ব্যথিত হন। এ কারণে এ বছরকে দুশ্চিন্তার বছর বলা হয়। এ বছরই আয়েশা ও সাওদা (রা.)-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নবীজি (সা.)। তায়েফের ময়দানে পাথরের আঘাতে রক্তাক্তের হৃদয়বিদারক ঘটনাও এ বছরই সংঘটিত হয়। নবুয়তের বারোতম বছরে ইসরা-মিরাজ এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়। মিনার আকাবার গিরিখাদের প্রথম শপথও এ বছরই অনুষ্ঠিত হয়। যে শপথ মদিনা হিজরতের প্রেক্ষাপট উন্মুক্ত করে। পরের বছর গিরিখাদের দ্বিতীয় শপথ, সম্মিলিত কাফের শক্তির নবীজি (সা.)কে হত্যার ষড়যন্ত্র এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আবু বকর (রা.)কে সঙ্গে নিয়ে মদিনায় হিজরত করেন নবীজি (সা.)। এরপর শুরু হয় নবীজি (সা.)-এর মাদানি জীবন। হিজরি প্রথম বর্ষে মদিনায় গমন, মদিনার ইহুদি ও প্রতিবেশী গোত্রগুলোর সঙ্গে নিরাপত্তা-চুক্তি, মসজিদে নববী নির্মাণ, আনসার-মুহাজিরদের মাঝে অসামান্য ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরি হয়। দ্বিতীয় হিজরিতে কেবলা পরিবর্তন, ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ, রমজানের রোজা, জাকাত, ফিতরা, ঈদ, কোরবানির মতো বড় বড় বিধান নাজিল হয়। তৃতীয় হিজরিতে ওহুদ যুদ্ধ, সুদ ও মদ হারাম এবং পর্দার বিধান নাজিল হয়। চতুর্থ হিজরিতে বনু নাজিরকে মদিনা থেকে বহিষ্কার এবং যাতুর রিকার অভিযান পরিচালিত হয়। পঞ্চম হিজরিতে আহজাবের যুদ্ধ, বনু কোরাইজার বিচার, তায়াম্মুমের বিধান এবং আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে ইফকের ঘটনা সংঘটিত হয়। পরের বছর হুদাইবিয়ার সন্ধি এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে ইসলামের বার্তা দিয়ে চিঠি প্রেরণ করেন রসুল (সা.)। সপ্তম হিজরিতে খায়বার বিজয়, উমরাতুল কাজা আদায়, সাফিয়া ও মাইমুনা (রা.)-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। অষ্টম হিজরিতে মক্কা বিজয়, হুনাইনের যুদ্ধ এবং তায়েফ অবরোধ করা হয়। নবম হিজরিতে তাবুক অভিযান এবং বিদায় হজের প্রস্তুতি শুরু হয়। দশম হিজরিতে ঐতিহাসিক বিদায় হজ, বিদায় হজের ভাষণ এবং দীন পূর্ণাঙ্গ করার ঘোষণা-সংবলিত সুরা মায়েদার আয়াত নাজিল হয়। একাদশ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসের সোমবারে রসুল (সা.)-এর অবিস্মরণীয় পার্থিব সফর শেষ হয়। রসুল (সা.) যে বর্ণাঢ্য ও শানদার জীবন কাটিয়ে গেছেন, তার অনুপুঙ্খ বিবরণ ছোট্ট পরিসরে কখনোই ধারণ করা সম্ভব নয়। এখানে কেবল তার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রত্যেক বছরের স্মরণীয় ও বড় ঘটনার দিকে ইশারা করা হয়েছে। নবীজি (সা.)-এর বর্ণাঢ্য জীবন পুরোপুরি জানতে হলে বৃহৎ কলেবরের নির্ভরযোগ্য সিরাত গ্রন্থ পাঠ করতে হবে।


একনজরে নবীজি (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী

ভূমিকা

মানব ইতিহাসে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর জীবন হলো সত্য, শান্তি ও মানবতার পরিপূর্ণ দৃষ্টান্ত। একনজরে নবীজি (সা.)-এর জীবনী জানলে আমরা তাঁর মহত্ত্ব ও আদর্শ সহজেই উপলব্ধি করতে পারি।


জন্ম ও বংশপরিচয়

  • জন্ম: ৫৭০ খ্রিস্টাব্দ, মক্কা নগরীতে।
  • বংশ: কুরাইশ গোত্র, বনি হাশিম পরিবার।
  • পিতা: আবদুল্লাহ (রহ.) – নবীর জন্মের পূর্বেই ইন্তেকাল করেন।
  • মাতা: আমিনা (রহ.) – শৈশবে ইন্তেকাল করেন।

শৈশব ও কৈশোর

  • দুধমা: হালিমা সাদিয়া (রহ.)
  • ডাকনাম: “আল-আমিন” (সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত)
  • ব্যবসা: কিশোর বয়সে ব্যবসায় অংশগ্রহণ, সততা ও বিশ্বস্ততার কারণে সবার আস্থা অর্জন।

বিয়ে ও পারিবারিক জীবন

  • বিবাহ: ২৫ বছর বয়সে ধনী ও সৎ মহিলা খাদিজা (রাঃ)-এর সঙ্গে।
  • পারিবারিক জীবন ছিল আদর্শ, ভালোবাসা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধায় পূর্ণ।

প্রথম ওহি

  • ৪০ বছর বয়সে হেরা গুহায় প্রথম ওহি নাজিল হয়।
  • জিবরাইল (আঃ) এসে বলেন: “পড়ো” (ইকরা)।
  • এর মাধ্যমে নবুওয়তের সূচনা হয়।

দাওয়াত ও মিশন

  • প্রথমে গোপনে দাওয়াত, পরে প্রকাশ্যে।
  • কুরাইশরা বিরোধিতা করলেও তিনি অবিচল ছিলেন।
  • মদিনায় হিজরত করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।

মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র

  • মুসলমানদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন।
  • মুসলিম ও অমুসলিমদের জন্য সংবিধান (মদিনা সনদ) প্রণয়ন করেন।
  • ন্যায়, সমতা, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার ভিত্তিতে সমাজ গড়ে তোলেন।

যুদ্ধসমূহ

  • বদর, উহুদ, খন্দকসহ একাধিক যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।
  • সবসময় আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ করেছেন, কখনো আক্রমণাত্মক নন।
  • বিজয়ের সময় শত্রুকেও ক্ষমা করেছেন।

বিদায় হজ্জ ও শেষ খুতবা

  • ১০ হিজরি সালে বিদায় হজ্জ পালন করেন।
  • আরাফাত ময়দানে শেষ খুতবা দেন:
    • সবাই সমান, কোনো জাতি-গোত্রের ভেদাভেদ নেই।
    • নারী অধিকার, দাসমুক্তি ও মানবাধিকারের ঘোষণা।
    • কুরআন ও সুন্নাহ আঁকড়ে ধরার নির্দেশ।

ইন্তেকাল

  • ৬৩ বছর বয়সে, ১১ হিজরি, রবিউল আউয়াল মাসে মদিনায় ইন্তেকাল করেন।
  • জান্নাতুল বাকি’র নিকটে সমাহিত হন।

উপসংহার

হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন মানবতার সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ আজও সমগ্র মানবজাতির মুক্তির পথনির্দেশক।


Prophet Muhammad SAW, Life of Prophet, Seerah of Prophet, Full biography of Prophet, Prophet Muhammad life events, Makkah and Madinah life, Prophet’s last sermon, Islamic history, Biography of Muhammad, Sirat-un-Nabi, Prophet of Islam, Last Messenger of Allah, Prophet Muhammad SAW biography, Seerat Nabi

Post a Comment

0 Comments